দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া গতকাল সোমবার বিকাল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ভর্তির আবেদন করা যাবে। তবে এবারের পরীক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিসে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান উপস্থিত হয়ে অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন। পাঁচটি ইউনিটের অধীনে এবার মোট আসন ৭ হাজার ১৩৩টি। এবার বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটে ১ হাজার ৮১০টি, কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটে ২ হাজার ৩৭৮টি, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে ১ হাজার ২৫০টি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটে ১ হাজার ৫৬০টি এবং চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটে ১৩৫টি আসন রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা অথবা রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি জমা দিতে হবে। ১ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত টাকা জমা দেয়া যাবে। এ বছর শিক্ষার্থীরা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে পারবেন। ১ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্ব পর্যন্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে। পরীক্ষার কেন্দ্র: শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দমত ৮টি বিভাগীয় শহরের যেকোনো একটি পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের জন্য তার সুবিধামত কেন্দ্র পছন্দ করার সুযোগ থাকছে। তবে আবেদনকারীকে নিজ বিভাগীয় শহরকে কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবেদনের যোগ্যতা: ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের নূন্যতম যোগ্যতা হিসেবে ‘ক’ ইউনিটের জন্য মাধ্যমিক/সমমান ও উচ্চ মাধ্যমিক/সমমান পরীক্ষায় (৪র্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ’র যোগফল নূন্যতম ৮.৫ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩.৫),‘খ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ’র যোগফল নূন্যতম ৮.০ (আলাদাভাবে ৩.০), ‘গ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ’র যোগফল নূন্যতম ৮.০ (আলাদাভাবে ৩.৫), ‘ঘ’ ইউনিটের জন্য মানবিক শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ’র যোগফল নূন্যতম ৮.০ (আলাদাভাবে ৩.০) ও বিজ্ঞান শাখার ক্ষেত্রে জিপিএ’র যোগফল নূন্যতম ৮.৫ (আলাদাভাবে ৩.৫) এবং ‘চ’ ইউনিটের জন্য জিপিএ’র যোগফল নূন্যতম ৭.০ (আলাদাভাবে জিপিএ ৩.০) থাকতে হবে। পরীক্ষার সময়সূচি: এবার ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২১ মে (শুক্রবার), ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২২ মে (শনিবার), ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৭ মে (বৃহস্পতিবার), ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষা ২৮ মে (শুক্রবার) এবং ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) ৫ জুন (শনিবার) অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষা সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। মানবণ্টন: এবারের ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে হবে। শুধুমাত্র ‘চ’ ইউনিটের পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষা হবে। ‘ক’, ‘খ’, ‘গ’ ও ‘ঘ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় পাবেন পরীক্ষার্থীরা। ‘চ’ ইউনিটের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট এবং অঙ্কন পরীক্ষার জন্য ৬০ মিনিট সময় পাবেন। মাধ্যমিক জিপিএ’র ওপর ১০ ও উচ্চমাধ্যমিক জিপিএ’র ওপর ১০ করে মোট ২০ নম্বর যোগ করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
Leave a Reply